শীতে বেশিরভাগ মানুষেরই আলসেমির কারণে বডি লোশনকেই মুখে ব্যবহার করার অভ্যাস থাকে। তবে এটি কি সত্যিই নিরাপদ? বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু ক্ষেত্রে বডি লোশন মুখে ব্যবহার করা ঠিক হলেও, ত্বকের ধরন বা নির্দিষ্ট সমস্যা থাকলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. আইভি লি জানান, “মুখে বডি লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে যদি ত্বকে ব্রণ, একজিমা বা অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা থাকে, তাহলে এটি মুখে অ্যালার্জি বা জ্বালাপোড়ার মতো প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, ফেস লোশন সাধারণত নন-কমেডোজেনিক, যা মুখের লোমকূপে আটকে গিয়ে ব্রণ তৈরি করে না এবং সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও উপযোগী।
যাদের ত্বকে বিশেষ কোনো সমস্যা নেই, তারা বডি লোশন ব্যবহার করতে পারেন, তবে ঘনত্ব এবং উপাদানের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। মায়ামির প্রসাধনী ব্র্যান্ড ‘অ্যালিক্সিস লরেন কালেকটিভ’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল রেন্ডা বলেন, “মুখের এবং দেহের লোশনের ঘনত্ব সাধারণত আলাদা হয়। মুখের জন্য হালকা ঘনত্বের লোশন বা ক্রিমই বেশি কার্যকর।”
এক্সফলিয়েটিং উপাদান যেমন ল্যাকটিক অ্যাসিড বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড মুখের জন্য নিরাপদ হলেও, অনেক বডি লোশনে উচ্চ মাত্রায় এই অ্যাসিড থাকে, যা ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। তাই মুখে বডি লোশন ব্যবহার করলে উপাদান ও ঘনত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া উচিত।
ত্বক পরিচর্যায় বহুমুখী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারও একটি ভালো সমাধান হতে পারে। ডা. লি বলেন, “আমি এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পছন্দ করি যা মুখ ও শরীর উভয়ের জন্য উপযোগী। এতে আলাদা পণ্য কেনার প্রয়োজন হয় না।”
সাধারণ ত্বকে বডি লোশন ব্যবহার নিরাপদ হলেও, সংবেদনশীল ত্বকে এটি এড়িয়ে চলাই ভালো।