মাশরাফি বিন মুর্তজা (কৌশিক) একজন যুদ্ধা! প্লেয়ারদের মধ্যে ডেডিকেটেড প্রায় সবাই। সবাই আবার ম্যাশ হতে পারেনা। পরিসংখ্যান দিয়ে কখনো তাকে মাপা যাবেনা। বলিউডের ‘লগন’ সিনেমায় ব্রিটিশদের বিপক্ষে আমির খানদের একটা ক্রিকেট ম্যাচ ছিল। সেখানে আমির খানদের জয় ছিল জাস্ট চিত্রায়িত আবেগ। সে দলে খুঁড়া, ল্যাংড়া, হাত বাঁকা খেলোয়াড়দের নিয়ে আমির খান ব্রিটিশদের হারিয়ে দিয়েছিল। কল্পনা দিয়ে চিত্রায়িত সে ম্যাচের ইন্ডিয়ান প্লেয়ারদের সাথে মোটেও আমাদের ম্যাশকে মেলাচ্ছিনা। একজন প্রকৃত নেতা বা লিডার তার পুরো দলকে এগিয়ে নিতে পারে ঠিক সেটা বুঝাতেই।
ম্যাশ কতবার চিকিৎসকের ছুরির নিচে গিয়েছে তা সকলেই জানি। বোলিং বা ফিল্ডিং করতে গিয়ে পড়ে গেলে পুরো দেশ স্তব্দ হয়ে যায় ছেলেটা বুঝি আবারো…
২০১৬ এশিয়া কাপ টি২০ কথা মনে আছে? পাকিস্তানকে ১২৯ রানে আটকে দিয়েছিল টাইগাররা। হাড্ডাহাড্ডি লড়ায় চলছে মাঠে। ক্রিজে মাহমুদুল্লাহ আর সাকিব। মোহাম্মদ আমিরের করা ১৮ তম ওভারের ২য় বলে সাকিব আউট হয়ে গেলে ফিকে হয়ে যেতে থাকে জয়ের আশা। দুর্দান্ত বল করছিল আমির। স্কোর ছিল ১০৪/৫। অর্থাৎ বাকী ১৬ বলে ২৫ রান দরকার। কঠিন সমীকরণ। হাতে ব্যাটসম্যান বলতে একমাত্র মুহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকদের অবাক করে দিয়ে ব্যাট হাতে লিডারই (ম্যাশ) নেমে পড়লো। প্রতিপক্ষের সেরা অস্ত্রের বিপক্ষে লড়তে হবে একজন বোলারকে! নেমেই পরপর দুই বলে দুই বাউন্ডারি! এটা সিনেমাটিক না? কঠিন সমীকরণ লিডারের ছুঁয়ায় বদলে গেল সব। বাকী কাজটা মাহমুদল্লাহ সেরে নিয়েছিল। সাথে দলের অনবদ্য জয়।
গতকালের ম্যাচে লিডারের আবারো চমক! স্লগ ওভারে নিয়মিত ধুকতে থাকা দলের চেহারা হঠাৎ বদলে দিয়েছে তার ওভাবে ব্যাট হাতে নেমে পড়া। যদিও হাতে ১১ ওভার এবং ৩ জন ব্যাটসম্যান ছিল। ১৮ রানের জয়ে লিডারের ২৫ বলে ৩৬ রানের ইনিংস কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা বুঝতে বেশি দুর যেতে হবেনা। আগের ম্যাচে মাত্র ৩ রানের হারই বলে দেয় তা!