প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বা কোন ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে আবহাওয়া অধিদপ্তর ঝড়ের গতি ও বিপদের সম্ভাব্য মাত্রা বিবেচনা করে কিছু সংকেত ব্যবহার করে। ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি এসব বিপদ সংকেত ১ থেকে ১১ নম্বর পর্যন্ত হয়ে থাকে। সেগুলোর কোনটার মানে কি জেনে নেই:
১নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেত: জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে।
২নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারী: দূরে গভীর সাগরেও একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না, তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথিমধ্যে বিপদে পড়তে পারে।
৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত: বন্দর ও বন্দরে নোঙ্গর করা জাহাজগুলো দূর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্খা রয়েছে (দুইটি লাল পতাকা উড়িয়ে এটা বুঝানো হয়)।
৪নং স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত: বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনো আসেনি।
আরো পড়ুন
৫নং বিপদ সংকেত: বন্দর ছোট বা মাঝারী তীব্রতার এক সামূদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়টি বন্দরকে ‘বাম’ দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।
৬নং বিপদ সংকেত: বন্দর ছোট বা মাঝারী তীব্রতার এক সামূদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়টি বন্দরকে ‘ডান’ দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।
৭নং বিপদ সংকেত: বন্দর ছোট বা মাঝারী তীব্রতার এক সামূদ্রিক ঘূণিঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়টি বন্দরের ঠিক ‘উপর দিয়ে’ অতিক্রম করবে (তিনটি লাল পতাকা উড়িয়ে এটা বুঝানো হয়)।
৮নং মহাবিপদ সংকেত: বন্দর সর্বোচ্চ তীব্রতার ঘর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। প্রচন্ড ঝড়টি বন্দরকে ‘বাম’ দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।
৯নং মহাবিপদ সংকেত: বন্দর সর্বোচ্চ তীব্রতার এক সামূদ্রিক ঘর্ণিঝড়ের কবলে নিপতিত। প্রচন্ড ঝড়টি বন্দরকে ‘ডান’ দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।
১০নং মহাবিপদ সংকেত: বন্দর সর্বোচ্চ তীব্রতার এক সামূদ্রিক ঘর্ণিঝড়ের কবলে নিপতিত। প্রচন্ড ঝড়টি ঠিক ‘বন্দরের উপর দিয়ে’ অতিক্রম করবে।
১১নং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত: আবহাওয়া বিপদ সংকেত প্রদানকারী কেন্দ্রের সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় কর্মকর্তা আবহাওয়া অত্যন্ত দূর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন।