জাতীয় পতাকা আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদার প্রতীক। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান জানানো আমাদের সকলের নৈতিক ও সাংবিধানিক দায়িত্ব। সঠিক রং ও মাপের জাতীয় পতাকা উত্তোলন আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হয়। আমরা চাইলে যেনতেনভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারবো না। এর আছে কিছু নীতিমালা, যা ভঙ্গ করলে শাস্তির মুখোমুখিও হতে হবে। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত-
চিত্রে উল্লেখিত মাপ মোতাবেক জাতীয় পতাকা তৈরি করতে হবে।
- পতাকা সূর্যোদয়ের সময় উত্তোলন ও সূর্যাস্তের সাথে সাথে নামাতে হবে।
- ছেঁড়া, বিবর্ণ, কুঁচকানো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।
- সোজা, লম্বা ও উঁচু দন্ডের উপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে।
- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চেয়ে অধিক উচ্চতার অন্য কোন পতাকা উত্তোলন করা যাবে না।
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালা ১৯৭২ এর বিধি ৭(২৫) অনুযায়ী “যখন জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হয় তখন উপস্থিত সকলে পতাকার দিকে মুখ করিয়া দাঁড়াইবেন, ইউনিফর্মধারীরা স্যালুটরত থাকিবেন”।
- জাতীয় পতাকার প্রতি অমর্যাদাকর আচরণ করা বা উল্লিখিত নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
জাতীয় পতাকা সম্পর্কিত বিধি-বিধান অবমাননার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য দন্ড
জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক (সংশোধন) আইন ২০১০ এর শর্তাবলী ক্ষুন্ন করা শাস্তি-
১ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা নগদ ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
পতাকার মাপ
পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০:৬। অর্থাৎ দৈর্ঘ্য যদি হয় ১০ ফুট প্রস্থ হবে ৬ ফুট। লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ হবে পতাকার দৈর্ঘ্যের পাঁচ ভাগের এক ভাগ। পতাকার দৈর্ঘ্যের ২০ ভাগের ৯ ভাগে একটি লম্বা সরলরেখা টানতে হবে তারপর প্রস্থের ঠিক অর্ধেক ভাগে আরেকটি রেখা আড়াআড়িভাবে টানতে হবে। এই দুই রেখার মিলিত বিন্দুই হবে বৃত্তটির কেন্দ্রবিন্দু।
সরকারি ও বেসরকারি ভবনের জন্য জাতীয় পতাকার আকার
১। দৈর্ঘ্য ৩০৫ সেন্টিমিটার (১০ ইঞ্চি), প্রস্থ ১৮৩ সেন্টিমিটার (৬ ইঞ্চি)
২। দৈর্ঘ্য ১৫২ সেন্টিমিটার (৫ ইঞ্চি), প্রস্থ ৯১.৫ সেন্টিমিটার (৩ ইঞ্চি)
৩। দৈর্ঘ্য ৭৬.২৫৫ সেন্টিমিটার (২.৫ ইঞ্চি), প্রস্থ ৪৫.৭৫ সেন্টিমিটার (১.৫ ইঞ্চি)